সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন

হেলেন আরা সিডনীর কবিতা প্রশান্তিময় স্নিগ্ধতা

হেলেন আরা সিডনীর কবিতা প্রশান্তিময় স্নিগ্ধতা

হেলেন আরা সিডনীর কবিতা
প্রশান্তিময় স্নিগ্ধতা

বৈশাখী ঝরো হাওয়ার মতো, নি:শ্বাসে নি:শ্বাসে ঝরে পরে
পেছনে ফেলে আসা সময়ের, অতৃপ্তময় এক রক্তক্ষরণ
জীবন বৃত্তের গন্ডীতে তবু আসে নতুনের চেতনা
কিছু স্বপ্ন – কিছু আশা – কবিত্বের আত্মমায়ায়
শাণিত ফলার মতো অনুভূতিতে জাগে প্রাণবন্ত শব্দমালা।

তবে কি শূন্যতার গভীরেও অবচেতনের নিগূঢ় ভালোবাসা
আমায় আস্থা হারাতে দেয় না ; নীলাজলে ডুবতে দেয় না
সাঁতরে নিয়ে যায় প্রতীক্ষার – অপেক্ষায় ; অপেক্ষার – প্রতীক্ষায়
জীর্ণতার তরী ডোবে কি ভাসে ; ভাসে কি ডোবে.. তবু
ক্ষীণ দৃষ্টি দু:খ জাগানীয়া মন্ত্র, হৃদ্যি সম্বলের কাছে হাত রাখে।

চিরন্তন অব্যয়ে আসে নতুন ; নতুনের সাথে মিত্রতার আকুতি
নিরব – নিস্তব্ধতার ক্ষত – বিক্ষত হৃদয়জল খোঁজে
কবি – কবিতার আলোকচ্ছটায় একটুখানি প্রশান্তিময় স্নিগ্ধতা
স্বর্ণপাতার শব্দগুচ্ছে নিজেকে ভোলাতে চায় ; সিক্ত হতে চায়
অসীম গৌরবান্বিত জ্যোর্তিময় ক্ষমাকারী প্রভুর কাছে ভিক্ষা খোঁজে
অনুকূল মনের ; আত্মঘাতী নিষ্ঠুর যন্ত্রনা থেকে মুক্তি
সময়ের কাছে সত্যের ঠিকানা ; মানবতার শুদ্ধতায় স্থিতিশীলতা।

দ্যুলোকের যত গ্লানি – অন্ধকার কালিমা – যাক্ মুছে যাক্
করি না বড়াই এই নশ্বর দেহখানি নিয়ে ; রাখি না অহংবোধ
অন্তর বিষে আপনার পতনে করি না মনুষ্যত্বের অবক্ষয়
মানুষের পানে ধেঁয়ে ; দুর্গন্ধ শুকে শুকে
নিজেরে করি না ফুঁটো বালতির জল ; কুড়োই না অন্ধত্বের অভিশাপ
মানব জাতি আমি ; আমারেই বলি একবার- দুইবার – শতবার
এসো এসো নতুন বছরের নতুন বন্ধনে
আমরা সকলে বৈরিতা ভুলে ; ভাঙ্গনের দেয়াল বন্ধুত্বের বাঁধনে গড়ি
সুলোলিত শব্দ খামারে অন্তরাত্মার বীজে ভালোবাসার ফসল তুলি।

শেয়ার করুন ..

Comments are closed.




© All rights reserved © পাতা প্রকাশ
Developed by : IT incharge